বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর :
শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কড়ইতলা মোড় থেকে নন্দীর বাজার হাইওয়ে সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরত্বের সড়কটি মৃগী নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত ৩ দিনে সড়কটির তালুকপাড়া গ্রামের প্রায় ১শ ফিট সড়ক ভাঙনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে চলে গেছে। ফলে ওই সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে ন আশপাশের ৭ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের। সড়কের পাশাপাশি ওই এলাকার একটি কলা বাগানসহ বেশ কিছু ফসলের জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নদী ভাঙন রক্ষায় বেশ কয়েকবার মাটি ফেললেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। গ্রামবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যানের দাবী সাধারণ গ্রামবাসীর দার্ভোগ কমাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে যেন দ্রæত ভাঙন রোধ করা হয়।জানাগেছে, শেরপুর পৌরসভা সীমানা বরাবর বয়ে গেছে গারো পাহাড় থেকে নেমে
আসা মৃগী নদী। এ নদীতে সাধারণত খুব বেশী পানি থাকে না। তবে উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে এলে এ নদী চিত্র পাল্টে যায়। নদী উপচে পানি প্রবাহের সাথে বয়ে চলে প্রবল বেগের স্রোত। ফলে নদী দ্#ু৩৯;কুলেই দেখা দেয় ভাঙন। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে শুক্রবার থেকে কড়ইতলা-নন্দীর বাজার সড়কের তালুকপাড়া গ্রামের প্রায় ১শ ফুট কাঁচা সড়কটি নদী গর্ভে চলে যায়। ফলে ওই সড়কে অটো, সিএনজি ও মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই সড়কে চলাচলরত ব্যাবসায়ী, কৃষক, চাকুরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন । স্থানীয়দের দাবী এখনই নদী ভাঙন ঠেকানো না গেলে আশপাশের আরো জমি-জমা ও ক্ষেত-খামার নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যাবে। স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানান, ইতিমধ্যে তিনি কয়েক দফা
ভাঙন রোধে মাটি ফেলে চেষ্টা করেছন কিন্তু পানির তোড়ে তা কুলায়নি। তাই বিষয়টি আমি ইউএনও, ডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি দ্রæত পদক্ষেপ নিতে।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস জানান , নদী ভাঙনের বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছেন। পানি
উন্নয়ন বোর্ড বরাদ্দ পাঠিয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।